শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:৩১ অপরাহ্ন

আঙুর আমদানির ওপর ধার্যকৃত শুল্ক বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার : হতাশ ভারতের চাষিরা

অনলাইন ডেস্ক, একুশের কন্ঠ ।।
ভারতে আঙ্গুরের মৌসুম শুরু হয় সাধারণত ডিসেম্বরে এবং তা চলে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত । ভারত থেকে আঙুর আমদানির ওপর ধার্যকৃত শুল্ক বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার। কেজি প্রতি এই শুল্ক ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে ১০৪ টাকা করা হয়েছে। আঙুর চাষিদের অভিযোগ এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কথা বলে সেই শুল্কহার কমানোর বিষয়ে ভারত সরকার কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এ নিয়ে কেন্দ্রের ওপর অসন্তোষও প্রকাশ করেছে আঙুর চাষিরা।

দেশটির আঙুর চাষীদের সংগঠন ‘মহারাষ্ট্র রাজ্য দ্রক্ষা বাগায়াতদার সংঘ’ (এমআরডিবিএস) এর অভিমত, আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির কারণে আঙুর চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ, তারা তাদের আঙুরের জন্য প্রতি কেজি ২০-২৫ রুপি কম পাচ্ছে।

ভারত প্রতি মৌসুমে প্রায় ২.৬২ লাখ মেট্রিক টন আঙুর রপ্তানি করে, যার মধ্যে শতকরা ২৮ ভাগ রপ্তানি হয় বাংলাদেশে। দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলা সবচেয়ে বেশি ৮০ শতাংশ আঙুর রপ্তানি করে থাকে।
আঙুর চাষি সমিতির দাবি, আমদানি শুল্ক বাড়ানোর পর নাসিক থেকে বাংলাদেশে আঙুর রপ্তানি প্রায় ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সাধারণত প্রতি মৌসুমে বাংলাদেশ ৬০,০০০ মেট্রিক টন আঙুর এই নাসিক থেকে আমদানি করে।

বৃহস্পতিবার এমআরডিবিএস’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট কৈলাস ভোঁসলে জানান, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত ছিল আমদানি শুল্ক কমানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করা। অত্যধিক মাত্রায় আমদানি শুল্কের কারণে শুধু বাংলাদেশে আঙুর রপ্তানিই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, আঙুর চাষিরাও প্রতি কেজিতে প্রায় ২০-২৫ রুপি কম দাম পাচ্ছে।

নাসিকের নিফাদের আঙুর চাষি মনোজ যাদব বলেন, বাংলাদেশ ভারতীয় আঙুরের অন্যতম আমদানিকারক। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের তরফে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর ফলে দেশ থেকে আঙুর রপ্তানিতে প্রভাব ফেলেছে। তাছাড়া, এই কারণে স্থানীয় বাজারে আঙুরের দামও কমে গেছে। ডিসেম্বরে আঙুর মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা দাবি করছি, আঙুরের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক কমিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা শুরু করা হোক। কিন্তু তা হয়নি।

নাফিদের আরেক আঙুর চাষি অরবিন্দ ভালেরাও একই সুরে কথা বলেছেন।

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং দিন্ডোরির বিজেপি সাংসদ ভারতী পাওয়ার এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বাংলাদেশ সরকারকে এ ব্যাপারে চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে আঙুরের আমদানি শুল্ক কমানোর জন্য তাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com